নাছোড়বান্দার মতো চালিয়ে যাওয়া (Persistence)
বিজনেস মানেই সফলতার হার মাত্র ৪%। আর চূড়ান্ত সফলতার হার ০.৫%। সুতরাং, যত ব্যক্তি বিজনেস করতে আসে তাদের অধিকাংশ ই ব্যর্থ হবে এটা পরিসংখ্যানের বক্তব্য। এখন প্রশ্ন হলো, আমরা কি অবধারিতভাবে ব্যর্থ হব, নাকি সফলদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সফলদের কাতারে জায়গা করে নিব?
আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্যর্থতাকে ভিষণ অপছন্দ করি। এবং যতবার ব্যর্থ হই, ততবার পুনরায় ফাইটব্যাক করে সফলতার দিকে ধাবিত হই। তাই আমার কাছে কেউ যদি বলে, সফলতার জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় কোনটি? তাহলে তার উত্তরে আমি তাকে পাল্টা একটা প্রশ্ন করবো, "আপনি কি সত্যি ই সফল হতে চান?"
উত্তর যদি হয় হ্যা, তাহলে বলবো নাছোড়বান্দার মতো লেগে থাকাই (Persistence) হলো সফলতা অর্জনের প্রধানতম পাথেয়।
আর এখানেই কবিরা নিরব। নানারকম যুক্তি, বাঁধা, সমস্যা দেখিয়ে ম্যাক্সিমাম মানুষ হাল ছেড়ে দেয়। তারা মনে করে, যারা সফল হয় তাদের জীবনে বোধ হয় ঐসব বাঁধাগুলো আসেনি!
আসুন, জেনে নিই কোন কোন বাঁধাগুলো কমনভাবে সবার জীবনেই আসে এবং সফলরা বাঁধাগুলো অতিক্রম করে সফল হয়।
১. আর্থিক বাঁধা (টাকা না থাকা)।
২. মানসিক বাঁধা (আমি হয়তো পারব না এই ভয়, আমার দ্বারা রেজাল্ট আসেনা ইত্যাদি)।
৩. পারিবারিক বাঁধা (বিজনেস বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে বড়দের ধারণা না থাকায় তারা মনে করে আপনি অযথা সময় নষ্ট করছেন, আপনাকে দিয়ে হবে না)।
৪. সামাজিক বাঁধা (সমাজের ৯৬% মানুষ ই ও এস কোয়াড্রান্টের মানুষ বলে তারা বি কোয়াড্রান্টের মানুষদের নিয়ে হাসাহাসি করে)।
৫. শারীরিক বাঁধা (আলসেমি বা কঠোর পরিশ্রম করতে অনিহা থাকা)।
উপরোক্ত পাঁচটি বাঁধা ই হলো প্রধান। যারা সফল হয় তারা উপরোক্ত বাঁধাগুলো চেনে এবং ওগুলো অতিক্রম করেই সফল হয়!...
আজ যারা বিভিন্ন এক্সকিউজ দেখিয়ে বিজনেস ছেড়ে দিচ্ছেন তারা এটা অন্তত জেনে রাখুন,
কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে/দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে?
PDF BOOK
0 Comments